সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৭ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ পায়রা নদীর ভাঙ্গনে শহর রক্ষা বাঁধের সিসি ব্লক সরে যাওয়ায় ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়েছে বরগুনার আমতলী পৌর শহর। ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ হুমকির মুখে পরেছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে বিলিন হয়ে যাবে পাউবো অফিস, খাদ্যগুদাম, মুক্তিযোদ্ধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটসহ শতাধিক স্থাপনা।
জানাগেছে, ১৯৯৮ সালে আমতলী পৌর শহরকে পায়রা নদীর ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষায় ফেরীঘাট এলাকা থেকে পাউবোর অফিস পর্যন্ত ১২০০ মিটার শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের অধিনে সিসি ব্লক ফেলে বাধঁ নির্মাণ করা হয়।
ওই সময় নিন্মমানের কাজ করায় অল্পদিনে মধ্যেই ব্লক সরে যেতে থাকে। ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন ও রোয়ানুর প্রভাবে আমতলী পৌর শহর সংলগ্ন পায়রা নদীর সিসি ব্লক সরে ও ভেঙ্গে যায়। এতে ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট, কাঠপট্রি, পুরাতন লঞ্চঘাট, শ্মশানঘাট ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকা নদী বক্ষে বিলিন হওয়ার উপক্রম হয়।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৪ সালে সিডর প্রকল্পের আওতায় আমতলী পৌরশহরকে পায়রা নদীর ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষায় ১২০০ মিটার ব্লক মেরামতের কাজ অন্তর্ভুক্ত করে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমবিইএল ১১৫ মিটার পায়রা নদীর তীর সংরক্ষনে সিসি ব্লক সংস্কার করে। অবশিষ্ট কাজ না করেই চলে যায়। এতে আরো হুমকির মুখে পড়ে পৌর শহর।
গত ২১ বছর সংস্কার না করায় পায়রার ভাঙ্গনে অধিকাংশ ব্লক নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। তাই আমতলী পৌরশহরকে পায়রা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় দ্রুত শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। রবিবার পায়রা নদী সংলগ্ন শহর রক্ষা বাঁধ এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, পায়রা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের স্রোতের ঢেউ তীরে আঘাত হানে।
এতে ব্লকগুলো সরে যাচ্ছে এবং দুর্বল অনেক ব্লক ভেঙ্গে নদীতে বিলিন হচ্ছে। আমতলী স্লুইজগেট এলাকায় দু’পাশের ব্লক সরে গেছে। বাড়ীঘর ভেঙ্গে যাচ্ছে। ফেরিঘাট, শ্বশ্মানঘাট, সবুজবাগ মুক্তিযোদ্ধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, লঞ্চঘাট ও খাদ্যগুদাম হুমকির মুখে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকায় ব্লক সরে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান, শহর রক্ষা বাঁধের পঞ্চম স্তরের প্রজেক্টে আমতলী পৌর শহর রক্ষায় পায়রা নদীর ব্লক সংস্কার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকা থেকে বৈঠাকাটা পর্যন্ত প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply